ইবিতে 'সেইভ ইয়ুথ' এর উদ্যোগে শান্তি, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্রতা বিষয়ক কর্মশালা

ইবিতে 'সেইভ ইয়ুথ' এর উদ্যোগে শান্তি, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্রতা বিষয়ক কর্মশালা

ইবিতে 'সেইভ ইয়ুথ' এর উদ্যোগে শান্তি, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্রতা বিষয়ক কর্মশালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্স এভরিহোয়ার (সেইভ) ইয়ুথ এর আয়োজনে ‘শান্তি, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্রতা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রথম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। মাইক্রোগভার্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (এমজিআর) ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে এই কর্মশালা। প্রথমদিনে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মাদ রুবেল মোল্লা, মাইক্রোগভার্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (এমজিআর) রিসার্চ এসোসিয়েট ও ডাটা ম্যানেজার মাজহার উদ্দিন ভূঁইয়া ও ডাটা এনালিস্ট গাজী রওশন হাবিব আনিকা। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, শান্তি, সংঘর্ষ, সহিষ্ণুতা এবং মতের বৈচিত্র্যতার ওপর বাস্তবিক জ্ঞান প্রদান করা হয়।

কর্মশালাটির মডারেটর হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির শাখা সেক্রেটারি আবদুল হাদি সাগর, সী লিডসে্র টিম লিডার হায়াতে জান্নাত, ক্যাম্পাস রেজিল্যান্সের টিম লিডার সিরাজ্জুমান গালিব, ইউথ ডেমোক্রেসির টিম লিডার মাহমুদুল হাসান। সংগঠনটির শাখা সেক্রেটারি আবদুল হাদি সাগর বলেন, সেভ ইয়ুথ ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার মূল কাজ হচ্ছে সর্বত্র সহিংসতা রোধ। শিক্ষার্থীরা যেন সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে। শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর দুইদিনব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ৮৫ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করছে।

 উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ‘সেইভ’ কাজ শুরু করে। ভিন্নধর্মী এ প্লাটফর্মটি বিশ্বের তরুণদের মাঝে শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নারী-পুরুষ, সক্ষম-অক্ষমদের নির্বিশেষে সমাজের সবার অন্তভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এছাড়াও সব ধরনের সংঘাতের পাশাপাশি সামাজিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক সচেতনতা, সক্ষমতা উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে।