কুবির বিভিন্ন জায়গায় ঝুলছে উপাচার্যের প্রতিমূর্তি

কুবির বিভিন্ন জায়গায় ঝুলছে উপাচার্যের প্রতিমূর্তি

ছবি: নিউজজোন বিডি

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঝুলিয়ে হয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের প্রতিমূর্তি। প্রধান ফটক ও গোল চত্বরের পাশে ডাস্টবিনের উপর এসব প্রতিমূর্তি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর ও প্রধান ফটকের সামনে এ চিত্র দেখা যায়।

শিক্ষকদের দাবি, উপাচার্যকে উপযুক্ত স্থান দেখানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি প্রতিমূর্তির উপর উপাচার্য ড এ এফ এম আব্দুল মঈনের ছবি বসানো হয় এবং প্রতিমূর্তির বুকে উপাচার্যের নানা দুর্নীতি ও বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষকদের উপর আক্রমণের বিবরণ দেওয়া হয়। শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই উপাচার্য আসার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি একটা আমদানিকৃত পঁচা মাল। একজন উপাচার্য হয়ে তিনি মিথ্যাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ডাস্টবিনের উপর তার প্রতিমূর্তি স্থাপনের দ্বারা আমরা তার উপযুক্ত জায়গা দেখিয়েছি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা আগে থেকেই শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ ২৮ তারিখ উপাচার্য সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এনিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আজকে তিনি ক্যাম্পাসে না এসেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী গ্রহণ করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা তার কুশপুত্তলিকা স্থাপন করেছি।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে উপাচার্য আবদুল মঈনকে কয়েকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামানের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান, এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখসহ ২০ থেকে ৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থী।