শ্রমিক সেজে চা পাতা তুললেন মমতা

শ্রমিক সেজে চা পাতা তুললেন মমতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সফরকালে বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মধ্যেই সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে দেখা গেলো মুখ্যমন্ত্রীকে। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের সঙ্গে সময় কাটালেন তিনি।

 

শুধু তা-ই নয়, চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বাগানে পাতা তোলার কাজে হাতও লাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে পিঠে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা পাতা তোলেন, সেভাবেই পাতা তুলতে দেখা গেলো তাকে।মমতা ব্যানার্জী যখনই কোথাও যান, সেখানকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে যেভাবে তিনি জনসংযোগ করেন, তা বাকি রাজনীতিকদের থেকে অনেকটাই আলাদা।

 

এদিন চা পাতা তোলার পাশাপাশি এখানকার শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেনে নেন কীভাবে চলছে তাদের কাজকর্ম-সংসার। খুঁটিয়ে জেনে নেন আয়ের বিষয়টি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ঠিকভাবে পাচ্ছেন কি না, যে জমিতে থাকেন তার পাট্টা পেয়েছেন কি না তাও জিজ্ঞেস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

চা পাতা তোলার সময় শ্রমিকরা একটি গান গেয়ে থাকেন। সেই গানটি শোনাতে অনুরোধ জানান মমতা। একপর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে গানে গলা মেলাতে দেখা যায় তাকে। পরে তাদের নাচের সঙ্গে নাচেও অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফাঁকে নিজের লেখা একটি কবিতা পাঠ করে শোনান মমতা ব্যানার্জী।

চা পাতা তোলা শিখে উৎফুল্ল মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ওদের পোশাক পরে, ঝুড়ি নিয়ে চা পাতা তোলা শিখলাম। এবার থেকে আমি যেকোনো চা বাগানে গিয়ে চা তুলতে পারবো। এটাই আমার বড় শিক্ষা। পাহাড় আমার নিজের বাড়ি হয়ে গেলো।

তিনি বলেন,পাহাড় ও সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়ে গেলো। আমি মুখে বলি না, করে দেখাই। আমি শ্রমিকদের পাট্টা দেবো।

 

এরপর মমতা বলেন, আমাদের পাহাড় ভালো থাকুক, চা বাগান ভালো থাকুক। আপনারা জানেন, আমাদের বাড়ির বিয়ে হচ্ছে পাহাড়ের মেয়ের সঙ্গে। পাহাড় এখন থেকে আমার পরম আত্মীয়।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে। আসর বসবে কার্শিয়াংয়ে। পাহাড়ি কন্যার সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়বেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে।