দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের

দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের

ফাইল ছবি

অবশেষে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি ও স্বাভাবিকের তুলনায় ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় মূলত পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বস্তায় বস্তায় দেশি ও ভারতীয় জাতের পেঁয়াজ নিয়ে বসে থাকলেও বাজার অনেকটা ক্রেতা শুন্য।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

   ব্যবসায়ীরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় পেঁয়াজ কিনে মজুদ করে রাখায় এখন সেই পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

কাওরান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মসির উদ্দিন জানান, 'দেশি জাতের নতুন পাবনার পেঁয়াজ বাজারে আসায় এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন ৭০-৯০ টাকায়। আর দেশি কিং জাতের পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১২০-১৩০ টাকা কেজি এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা প্রতি কেজি।' 

আরেক ব্যবসায়ী মো. জলিল জানায়, 'পেঁয়াজের বাজারে পেঁয়াজ কেনার লোক নাই। আগে কাস্টমারের ভিড় থাকতো। এখন দাম বাড়ার পরে বাজারে কোন লোক নাই। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আগের তুলনায় বেচাকেনা কমেছে অনেক। আগে যেখানে প্রতিদিন ১০০-১৫০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করতাম। এখন তা কমে ৬০-৭০ বস্তায় এসে ঠেকেছে ।

ভারত থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি করতেছি ১৩০ টাকা কেজি। আর দেশি নতুন পেয়াজ বাজারে আসায় দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। এতে আমার কেজিতে ৩০-৪০ টাকা লস হইতেছে।' 

বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মহল্লার খুচরা ব্যবসায়ী শাহিন জানায়, 'ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি এইটা মহল্লায় গিয়ে ১৪০টাকা বিক্রি করুম। আগে কিছু পেঁয়াজ বেশি দামে কেনা ছিলো এখন তাতে লস হইবো। আগের কেনা মালে কেজিতে ২৫ টাকা লোকসান হচ্ছে দাবি তার। দাম বৃদ্ধি থাকা অবস্থায় কিনে এখন কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।' 

এদিকে পেঁয়াজের দাম কমার খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সস্তি দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ বলছে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান বাজার মনিটরিং করলে আর ভারতীয় জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে পারলে আরও দাম কমবে। তাদের আশঙ্কা যদি বাজারে পেঁয়াজ ঘাটতি দেখা দিতো আর দেশি পেঁয়াজ না উঠতো তাহলে ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকার বেশি দাম চাইতো পেঁয়াজের।