মুন্সিগঞ্জ বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি; এখনও নিখোঁজ দুই

মুন্সিগঞ্জ বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি; এখনও নিখোঁজ দুই

সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের হাসাইল পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনার পরপরই  শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিখোঁজ দুইজন হলেন  ঢাকা ধানমন্ডির মাহফুজুর রহমান রানা ও অপরজন জেলার সিরাজদিখানের হারুনর রশীদ। নিখোঁজদের উদ্ধার নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিসের জেলা স্টেশন অফিসার মো. মোহসিন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় দুইজনের মরদেহ শনিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলাটিতে ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে কোনও মরদেহ পাওয়া যায়নি। 

বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুর করিম বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারটির উদ্ধারে বিআইডব্লিউটি এর  একটি ক্রেনবোর্ড আসছে। খুব দ্রুত ডুবে যাওয়া ট্রলাটি উদ্ধার করা হবে বলে আমরা আসাবাদী।  

তবে নিখোঁজদের না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে চরআব্দুল্লাহপুর নৌ-ফাড়ি ইনচার্জ মো. হাসনাত জামান বলেন, দুর্ঘটনার সাথে জড়িত বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের ডুবুরি দল ও বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। 

উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হাসাইলের মিয়া বাড়ির ঘাট থেকে ৩৫-৪০ জনযাত্রী নিয়ে হাসাইল বাজারের উদ্দেশ্যে ট্রলাটি ছেড়ে মাঝ নদীতে আসলে লৌহজংগামী একটি বাল্কহেড ট্রলারের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে ট্রলারসহ ট্রলারে থাকা সকল যাত্রী পানিতে তলিয়ে গেলে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।