হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণ চেয়ে রিটের শুনানি কার্যতালিকায়

হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণ চেয়ে রিটের শুনানি কার্যতালিকায়

ফাইল ছবি

চলতি বছরের হজ প্যাকেজের খরচ কমিয়ে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রাখার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট শুনানির জন্য আজকের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। এটি আজকের তালিকায় ৮৩ নং আইটেমে আছে। গতকাল রোববারও রিটটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করা ছিল।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানি হবে।

বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন। তিনি বলেন, আজকে এটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। আইটেন হচ্ছে ৮৩। আশা করছি দুপুর ১২টার দিকে এটি শুনানি করা হবে।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান।

পরে আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, হজের মোট খরচ ৪ লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে, সেখানে সরকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আর বিশেষ প্যাকেজ ৯ লাখ ৩ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা বাধা সৃষ্টির নামান্তর। নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচদিনের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ (হিজরি-১৪৪৫) এর হজযাত্রীপ্রতি খরচ অত্যন্ত অযৌক্তিক এবং যা মানুষের নাগালের বাইরে।

এতে বলা হয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অনেক বেশি। এতে বোঝা যায় যে, সরকার হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বাড়ির মালিকদের অনুকূলে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করেছে।

গেজেটে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৩৪ টাকা, যা অনেক বেশি। এটা হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা। আর জমজমের পানির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা খুবই আপত্তিকর। এই বরকতময় পানি বিক্রি করে কোনো সরকার আর্থিক সুবিধা নিতে পারে না।

সৌদির মিনা-আরাফাহ-মুজদালিফা এবং আবার 'ডি' ক্যাটাগরির অধীনে মিনায় পাঁচ দিন থাকার জন্য সার্ভিস চার্জ বাংলাদেশি টাকায় ৬২ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা অতিরিক্ত। হজযাত্রীদের ওপর এ ধরনের অর্থ আরোপ প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ বা সৌদি সরকার মহান আল্লাহর মেহমানদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জনে খুবই আগ্রহী।

তাছাড়া এ বছরের হজ প্যাকেজে বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার টাকা ভিসা ফি, ইলেক্ট্রনিক সার্ভিস, গ্রাউন্ড সার্ভিস ফি, ক্যাম্প ফি নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সৌদি আরব সরকার এই ভিসা ফি আরোপ করতে পারে না। কারণ সমস্ত হজযাত্রীরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য পবিত্র মক্কা ও মদিনায় যাচ্ছেন।