ওয়ার্নের স্মরণে এমসিজিতে অভিনব উদ্যোগ

ওয়ার্নের স্মরণে এমসিজিতে অভিনব উদ্যোগ

ওয়ার্নের তিন সন্তান সামার, জ্যাকসন ও ব্রুক

গত বছরের ৪ মার্চ থাইল্যান্ডে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শেন ওয়ার্ন। বাবার মতো পরিণতি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে তাঁর তিন সন্তান সামার, জ্যাকসন ও ব্রুক হৃদ্‌রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে সম্প্রতি শেন ওয়ার্ন লিগ্যাসি (এসডব্লুএল) নামের একটি ফাউন্ডেশন গঠন করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনারকে ঘরের মাঠ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া–পাকিস্তানের বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন তাকে স্মরণ করার চমৎকার এক উদ্যোগ নেয়া হয়। এমসিজিতে বিনা মূল্যে দর্শকদের হৃৎপিণ্ড, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও শেন ওয়ার্ন লিগ্যাসি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।

সন্তানদের জনসেবামূলক কাজগুলো ওয়ার্ন ওপার থেকে দেখে খুশি হয়েছেন বলে মনে করেন জ্যাকসন, ‘সবাই জানে, বাবা এ ধরনের কাজ কতটা ভালোবাসতেন। এমসিজির সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ডটা তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যেটা দক্ষিণ গোলার্ধেরও সবচেয়ে বড়। আমার মনে হয়, তিনি এসব দেখে হাসছেন।’

স্টেডিয়ামের ২৩টি জায়গায় স্থাপন করা হেলথ স্টেশনে মাত্র চার মিনিটেই এসব পরীক্ষা করতে পেরেছেন দর্শকেরা। এ ছাড়া ওয়ার্নের ৩৫০ নম্বর সাদা ফ্লপি হ্যাটের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে দর্শকেরা তাঁদের পরিহিত ক্যাপ মাথা থেকে খুলে ওপরে তুলে ধরে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ক্রিকেটার থাকার সময়েই গলফের প্রতি ভালোবাসা ছিল ওয়ার্নের। ক্রিকেট ছাড়ার পর ঝোঁক বেড়ে যায় আরও। ওয়ার্নের সংগ্রহশালা দেখে জ্যাকসন ও তার দুই বোন সামার ও ব্রুক ওয়ার্ন অবাক বনে যান। জ্যাকসন জানান, ‘আমরা তাঁর গুদামঘরে ঢুকে দেখি অসংখ্য জিনিসে ভরা। ঘরে ঢুকে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। শুধু সংগ্রহের পর সংগ্রহ করে গেছেন। সেখানে সম্ভবত ৩০০ ড্রাইভার্স, ৪০০ পুটার্স ও অন্তত ৫ কোটি গলফ ব্যাগ আছে। আমি মজা করছি না। তাঁর সংগ্রহের প্রাচুর্য দেখলে সে রকমই মনে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ২৩ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন ওয়ার্ন। সে কারণেই এমসিজির ২৩টি জায়গায় হেলথ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে জ্যাকসন আরও জানান, ‘আমরা ঠিক ২৩টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্র স্থাপন করেছি। কেউ যদি খেলা দেখার জন্য টিকিট না–ও পেয়ে থাকেন, তাঁদের জন্যও স্টেডিয়ামের বাইরে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মানে, আপনি যদি বাসায় বসে টিভিতে খেলা দেখে থাকেন, তাঁরাও এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন।’