পৃথক মামলায় বিএনপির ২৯ জনের কারাদণ্ড

পৃথক মামলায় বিএনপির ২৯ জনের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

নাশকতার পৃথক মামলায় বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এসব রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ২০১৮ সালের রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে এক মামলায় ১৩ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ছয় হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাজী এসএম ফজলুল হক, আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, জহির উদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান রেনু, সোহরাব হোসেন স্বপন, সৈকতুল ইসলাম, শামসুল আলম ওরফে চঞ্চল, মজনু দর্জি, রেজাউল মেম্বার, মুজিবর মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও আ. করিম।

একই মামলায় আরও সাতজনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এক বছর করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শহীদুল ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম মুরাদ, শামীম মোল্লা, মানিক মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

খিলক্ষেত থানার অপর মামলায় ৬ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় দুই বছর করে ছয় বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, মিজানুর রহমান রেনু, নূরে আলম তুহিন, জাকির হোসেন লিটন ও দিদার হোসেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় পুলিশের করা মামলায় তিন জনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শাহাদাত হোসেন খান, শহিদুল ইসলাম ও জুয়েল মৃধা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।