যেসব কারণে দুইমাস ধরে ইন্টারনেটের গতি কম

যেসব কারণে দুইমাস ধরে ইন্টারনেটের গতি কম

ছবি: সংগৃহীত

দুই মাসেরও বেশি সময়জুড়ে রাজধানীসহ দেশের নানা জায়গায় ইন্টারনেটের গতি কম। মোবাইল নেটওয়ার্ক কিংবা ব্রডব্যান্ড, দুই ক্ষেত্রেই ঘটছে একই ঘটনা। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড একটি বড় কারণ। পাশাপাশি, টাকা না পাওয়ায় সাবমেরিন কেবল কর্তৃপক্ষ কমিয়ে দিয়েছে ব্যান্ডইউথ। আর এতেই কমেছে দেশজুড়ে ইন্টারনেটের গতি।

সম্প্রতি ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করতে গিয়ে ইউটিউব কন্টেন্টের প্রথম এক মিনিট দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হলো প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড। অপেক্ষার এই সময়কে গণনায় ধরলে এই সাড়ে চার মিনিটের কন্টেন্ট দেখার জন্য আপনাকে ব্যয় করতে হবে ছয় মিনিটের বেশি।

বলা হয়, ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সবচেয়ে গতিশীল মাধ্যম ইউটিউব। সেখানেই এই বাস্তবতা। তাহলে ফোরকে রেজ্যুলেশনে নেটফ্লিক্স কিংবা অন্যান্য ওটিটি কন্টেন্ট দেখলে কী অবস্থা হচ্ছে, ভাবুন তো!

শুধু ভিডিও নয়, ইন্টারনেটের দুর্বল গতি ভর করছে ভিডিও কল, জুম মিটিংসহ নানা ক্ষেত্রে। ব্রডব্যান্ড ছেড়ে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করলেও মিলছে না সমাধান। আর মোবাইল অপারেটররা জানালেন, গতি কমার অন্যতম কারণ, সাবমেরিন ক্যাবলস কর্তৃপক্ষের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়া।

রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, কোয়ালিটি ভোক্তারা পাচ্ছে না। এখানে আমাদের দায় না থাকলেও আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে পারি না।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা যতো দ্রুত ইকুইপমেন্টগুলো রিপ্লেস করতে পারবো ততো দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে। কিছু কারণে আমাদের দেরি হচ্ছে, তাও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কর্তৃপক্ষ বলছে, ইন্টারনেটের গতি কমার অভিযোগ তারা এখনও পাননি। বর্তমানে ২০০জিবিপিএস ব্যান্ডইউথ ডাউন আছে। বকেয়া টাকা পেলে বাকিটাও ছেড়ে দেয়া হবে।

গত ২৪ নভেম্বর বিল বকেয়া থাকায় দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির ব্যান্ডউইথ ডাউন করে দেয় সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। ফলে তখন দেশের বিভিন্ন জায়গার ইন্টারনেট গ্রাহকরা অনেকে ধীর গতির ইন্টারনেট সেবা পান। পরে অবশ্য বকেয়া পরিশোধ শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলো। যার কিছু অংশ এখনও বকেয়া রয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কেনে কয়েকটি আইএসপি ও আইআইজিগুলো। আইআইজি থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে সরাসরি গ্রাহককে সেবা দেয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।