এমবাপেকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মৌসুম শুরু

এমবাপেকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মৌসুম শুরু

কিলিয়ান এমবাপে

ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। তরুণ এই স্ট্রাইকার ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যেই একবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন। গত কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেও দুর্দান্ত পারর্ম্যান্সে আটকে রেখেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ফুটবল জাদুকরের দলই। তরুণ বয়সেই দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা এমবাপে অবশ্য নিজের ক্লাব ক্যারিয়ার রাঙাতে পারেননি এখনো।

পিএসজির হয়ে প্রতিবছরই লিগ ওয়ান শিরোপা জেতা এমবাপে এখনো ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ অর্জন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দেখা পাননি। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে প্রতিবছরই ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে নেমে ফিরতে হয় খালি হাতেই। এ টুর্নামেন্টে এমবাপে-পিএসজির সর্বোচ্চ অর্জন একবার ফাইনালে হার।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এমবাপের শৈশবের স্বপ্ন। মাদ্রিদের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আদর্শ মেনেই ফুটবলের নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন ফরাসি এই ফুটবলার। আর তাই খেলতেও চান নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়ালের হয়ে।

স্প্যানিশ জায়ান্টরাও চায় এমবাপেকে নিজেদের স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু দুই পক্ষেরই এমন চাহিদার মাঝে একমাত্র বাধা হয়ে আছে পিএসজি। ফরাসি ক্লাবটি কিছুতেই এমবাপেকে ছাড়তে রাজি নয়। আর তাই প্রতি বছরই দলবদলের মৌসুমে গুঞ্জণ ওঠে এবারই হয়তো গ্যালাক্টিকোদের দলে নাম লেখাচ্ছেন এমবাপে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠে না।

এমন গুঞ্জণ সবশেষ গ্রীষ্মকালীন দলবদলের মৌসুমেও ওঠেছিল। শুরুটা করেছিলেন এমবাপে নিজেই। পিএসজিকে দেয়া এক চিঠিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, নতুন করে আর চুক্তি নবায়ন করবেন না তিনি। এরপর ফরাসি জায়ান্টরাও খেপেছিল, ওঠেপড়ে লেগেছিল তরুণ এই ফুটবলারকে বিক্রি করে দিতে।

তবে শেষ পর্যন্ত এমবাপের আর রিয়াল মাদ্রিদে যাও্যা হয়ে ওঠেনি। এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীতকালীন দলবদলের মৌসুম। আর তাই ফের শুরু হয়েছে এমবাপে-রিয়ালকে নিয়ে নানা রকম গুঞ্জণ এবং জল্পনা-কল্পনা।

পিএসজির সঙ্গে এমবাপের চুক্তির মেয়াদ আছে আর ছয় মাস। এরপর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যে কোনো ক্লাবে নাম লেখাতে পারবেন তিনি। সেই সাথে যখন জানিয়ে দিয়েছেন যে নতুন করে চুক্তি করবেন না, তাই রিয়ালে যাওয়ার গুঞ্জণ আরও পোক্ত হয়েছে এখন। তবে শেষ পর্যন্ত এবারও এ দুই পক্ষের মিলন হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।