মির্জা ফখরুলের এক, আমীর খসরুর দুই মামলায় জামিন

মির্জা ফখরুলের এক, আমীর খসরুর দুই মামলায় জামিন

মির্জা ফখরুলের এক, আমীর খসরুর দুই মামলায় জামিন

রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতার আরেক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী এবং দুই মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতে জামিন পেলেন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসাআই) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। পরবর্তী সময়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে এই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। পাশাপাশি রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯ মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচচেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তার আগে ৯ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সাথে অধিকতর জামিন শুনানির জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের রমনার তিন ও পল্টনের ৬ মামলার গ্রেফতার এবং জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।