নির্বাচন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে পাবনার সিএনজি মালিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নির্বাচন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে পাবনার সিএনজি মালিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নির্বাচন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে পাবনার সিএনজি মালিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের আয়োজন এবং কমিটির সভাপতিসহ সকলের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন পাবনা জেলা অটোটেম্পো, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির সদস্যরা।ঈাবনা জেলার সিএনজি মালিক সদস্যবৃন্দ'র ব্যানারে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা জেলা অটো টেম্পো অটো রিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুর রাজ্জাক মীরের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সমিতির সদস্য জাকির হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন  সোলে, মাইনুল ইসলাম রাজন, আইয়ুব হােসেন, মোঃ রানা, মুরাদ হোসেন রাজন, মোঃ সাবু, সাবেক সহ-সভাপতি মাহাতাব হোসেন শিমুল প্রমুখ।

তারা বলেন, নির্বাচন না দিয়ে গত ১০-১৫ বছর ধরে পকেট কমিটি করে রাখছে, কোনো বাৎসরিক সভা হয় না,  কোনো আয়-ব্যায়ের হিসাব দেয়া হয় না, সভাপতি আব্বাস আয়-ব্যয়ের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাৎ করছেন। দীর্ঘদিন কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরেও গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে দুর্নীতিগ্রস্থ কমিটি এখনো অফিস করছে! সমিতির সাধারণ সদস্যরা সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা বি ত হচ্ছেন। সাধারণ সভার নামে ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়  দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিদিন সাধারণ সদস্যদের চাঁদার টাকা হিসাবে তুলে কমিটির সভাপতিসহ তার বাহিনী সম্পদ গড়ে তুলেছে। আমরা পাবনার সকল জনপ্রতিনিধি, এমপি, ডিসি-এসপিদের কাছে আবেদন করায় অতিদ্রুত ১০-১৫ বছরের হিসাব নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত কমিটির হাত থেকে পাবনা জেলা অটো  টেম্পো অটো রিকশা ও সিএনজি চালিত মিশুক মালিক সমিতি রক্ষা করুন।

এব্যাপারে পাবনা জেলা অটো টেম্পো অটো রিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির সভাপতি আব্বাস আলী বলেন, ‘আমি তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি, আমরা নির্বাচন পরিচালনার কমিটি গঠন করতে চাইলেও তারা নাম  দেয়া না, যে নাম দেয় তারা বহিরাগত। তাদের দিয়ে তো আর নির্বাচন পরিচালনার কমিটি হবে না। এজন্য তফসিলও ঘোষণা হচ্ছে না। তারপরও আমরা নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা যেসব নেতৃবৃন্দদের মাধ্যম ও তদারকিতে নির্বাচন করবো তারা এই এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা আসলেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করবো। আর আজকে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের যেসব অভিযোগ করেছে সবই ভুয়া, মিথ্যা। যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের অধিকাংশ জনই শ্রমিক, তারা সিএনজি মালিক না।

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের শ্রম কল্যাণ সংগঠনের পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন,‘গত বছরে সাধারণ সভার পর নির্বাচনের কথা ছিল, কিন্তু তাদের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে জাতীয় নির্বাচনের পর বিশেষ সাধারণ সভা করে নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন আয়োজন কথা। এই পর্যন্তই আমি জানি। আজকের বিষয়ে জানি না। আমি খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো।’