রাবির হলে টাকার বিনিময়ে সিট চাওয়ার অভিযোগে ২ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

রাবির হলে টাকার বিনিময়ে সিট চাওয়ার অভিযোগে ২ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) টাকার বিনিময়ে সিট চাওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে এ ঘটনা ঘটে। 

সোপর্দকৃত দুজন হলেন আরবী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বদরুল আলম। 

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই টাকার বিনিময়ে সিট কেনার নাটক সাজিয়েছিল দুই শিক্ষার্থী। শিবিরের ইন্ধনেই এসব কর্মকাণ্ড করে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাতে চায় তারা। তাছাড়া আশিক শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানান তিনি। 

শাহ মখদুম হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এলাহি বলেন, ফোনে অডিও রেকর্ড চালু রেখে টাকার বিনিময়ে আমার কাছে সিট বদল করতে আসেন আশিক। আবাসিক ছাত্র হয়েও টাকা দিয়ে সিট বদল করতে চাওয়ায় আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি তার ফোন যাচাই করে দেখি রেকর্ডার চালু। বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের জানালে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব হলে আসেন এবং আশিককে একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর বদরুল আলম এ ঘটনায় সম্পৃক্ত বলে জানা যায়। তখন তাকেও হলে ডাকা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উভয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে টাকার বিনিময়ে সিট চাওয়ার রেকর্ডটি দেখাতে পারেননি তিনি। 

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ দুই ছেলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তারা শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তখন আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলি। কিন্তু তারা সেটা মানতে রাজি হয়নি। এদিকে অফিস সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ছাত্রলীগকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। তখন তারা উভয়কে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে তারা দোষী কিংবা শিবিরের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত কিনা সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আশিক ও বদরুলকে পুলিশে সোপর্দ করলে উভয়কে নগরীর মতিহার থানায় আনা হয়।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোবারক পারভেজ জানান, তারা উভয়ই থানায় রয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে ছাত্রলীগের কেউ তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।