১০ মে'র মধ্যে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছাড়বেন: মুইজ্জু

১০ মে'র মধ্যে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছাড়বেন: মুইজ্জু

ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের ওপর অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। তাছাড়া ১০ মে’র মধ্যে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রথম অধিবেশনে মালদ্বীপের সংসদে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন মুইজ্জু।

মুইজ্জু বলেন, ১০ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপের তিনটি বিমানঘাঁটির একটি থেকে ভারতীয় সেনারা সরে যাবেন। আর ১০ মে’র মধ্যে অন্য দুই বিমানঘাঁটি থেকেও ভারতীয় সেনারা বিদায় নেবেন।

এর আগে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ১০ মে’র মধ্যে সব সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে ভারত। তখন অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষই মানবিক ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করেছে।

মালদ্বীপে ভারতের ৮৭ জন সেনা মোতায়েন রয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে মুইজ্জু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মালদ্বীপের ‘ভারত প্রথম’ (ইন্ডিয়া ফার্স্ট) নীতি পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু। গত নভেম্বরে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ভারতকে তার সেনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘চীনপন্থি’ নেতা হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু। আর তা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

২০১০ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে রয়েছেন। মালদ্বীপের সেনাদের যুদ্ধসংক্রান্ত প্রশিক্ষণসহ দেশটির প্রত্যন্ত দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন ভারতীয় সেনারা।

মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্টকে প্রতিবছর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দিতে হয়। সে অনুযায়ী সোমবার পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন মুইজ্জু। তবে প্রধান দুই বিরোধী দল এমডিপি ও ডেমোক্র্যাটের সদস্যরা প্রেসিডেন্টের ভাষণ বর্জন করেন। ভারতবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় নিজ দেশেও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মুইজ্জু।

সূত্র: এনডিটিভি