ভাঙ্গায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ১০

ভাঙ্গায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ১০

প্রতিকী ছবি

ভাঙ্গায় আঞ্চলিক সড়কে ইজিবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মানিকদহ ও হামিরদী ইউনিয়নের ৪ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ভাঙ্গা থানার ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের ৮টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৮ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি নিক্ষেপ করে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হামিরদী ইউনিয়নের ছোট মুচকুরনি গ্রামের ইজিবাইক চালক মিরাজুল মাতুব্বর তার ইজিবাইকটিতে যাত্রী নেওয়ার উদ্দেশ্যে পুখুরিয়া-সদরপুর আঞ্চলিক সড়কের মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া স্ট্যান্ডে সদরপুরের প্রবেশপথে রাখেন। এ সময় মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়া ইজিবাইকটি সরিয়ে রাখতে বলেন। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার দুই পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে একপক্ষে হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী, ছোট মুচকুরনি ও মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া ও ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের কয়েকশত লোক ইট পাথর, ঢাল, সড়কি,রামদা নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এ সময় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। সংঘর্ষ থামানোর সময় সংঘর্ষকারী ছোড়া ইটের আঘাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়। এদেরকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত ভাঙ্গা থানার উপ- পরিদর্শক মোঃ গোলাম কিবরিয়া(৫২), কনস্টেবল আবুল কালাম (৫০), কাজী রাব্বি(২৮), শোয়েব মোল্লা (৩৭) ও জহিরুল ইসলাম (২৯),আহত হয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ইজিবাইক রাখা নিয়ে দুপক্ষের দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৮ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।