সাকিব আল হাসানের আরো একটা রেকর্ড

সাকিব আল হাসানের আরো একটা রেকর্ড

সাকিব আল হাসান

লোকমুখে একটা প্রবাদ আছে, ‘সাকিব আল হাসান রেকর্ডের পেছনে নয়, রেকর্ড সাকিবের পেছবে ঘুরে।’ অনেকে তো তার নাম বদলে ‘রেকর্ড আল হাসান’ নামে ডেকে থাকে। ভাবনাটা অবশ্য অমূলক নয়, ক্যারিয়ার জুড়ে সাকিব যা করছেন, এমনটা হবারই কথা। গতকাল মঙ্গলবার যেখানে যোগ হলো আরো একটা অর্জন।

বিপিএল ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার তিনি, আসর সেরা হয়েছেন চার চারবার। ব্যাটে-বলে বরাবরই মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন, ব্যাটে-বলেই আলোচনায় থেকেছেন। তবে এবারের গল্পটা ছিল ভিন্ন, সাকিব আলোচনায় ছিলেন ‘ফুরিয়ে গেছেন’ বলে।

চারিদিকে গুঞ্জন, কতো কানাঘুঁষা। একের পর এক বাউন্সার ছাড়ছিলেন সমালোচকরা। কিন্তু কী আর করা, চোখ যে কথা শুনছিল না! তবে চেষ্টার কমতি রাখেননি সাকিব, ফেরার জন্য যা করার সবটাই করছিলেন তিনি। এক দেশ থেকে আরেক দেশ, চোখ সারাতে ছুটছিলেন। অনুশীলনেও ছিলেন মনযোগী।

তবে ব্যাটে-বলে যেন ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আড়চোখে বল ব্যাটে আনা কী সহজ কথা! তবে চ্যালেঞ্জটা নিলেন তিনি। বরাবরই চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ জানানো সাকিব আরো একবার নিজের কাজটা করলেন। যখন চারিদিক থেকে ভেসে আসছিল বিদ্রুপ, মাঠে শুনতে হচ্ছিলো দুয়ো; তখন জ্বলে উঠলেন আপন মহিমায়।

মঙ্গলবার মিরপুরে ঢাকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট হাতে ২০ বলে ৩৪, এরপর বল হাতে ১৬ রানে নেন ৩ উইকেট; দলকে জেতাতে এটাই যথেষ্ট ছিল। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুর জয় পেয়েছে ৬০ রানে। টানা চার জয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সাকিবও আসরে প্রথমবার জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

এই নিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ সেরার তালিকায় তিনে উঠে এসেছেন সাকিব। সবমিলিয়ে সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ জিতেছেন ৪১ বার। যেখানে অবশ্য সাকিব একা নন, আছেন আরো দু’জন; কাইরন পোলার্ড, অ্যালেক্স হেলস। তারাও ৪১ বার হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

যেখানে সমান ৪২ বার করে ম্যাচ সেরা হয়ে ডি ভিলিয়ার্স ও শোয়েব মালিক সর্বোচ্চ ম্যান অব দ্য ম্যাচের তালিকায় আছেন দুইয়ে। আর ৬০ বার ম্যাচ সেরা হয়ে এক নম্বরে ক্রিস গেইল।