গাজার যুদ্ধ বন্ধের ক্ষমতা আমার নেই: জাতিসংঘ মহাসচিব

গাজার যুদ্ধ বন্ধের ক্ষমতা আমার নেই: জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমার সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, গাজায় এত বড় পরিসরে দুর্ভোগ দেখেও এটিকে থামানোর ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। এটি বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাজায় যুদ্ধ ও সেখানকার মানুষের কষ্টের অবসান ঘটাতে না পারায় গভীর দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

এ সময় আন্তোনিও গুতেরেস আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, অন্তত মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার শর্ত তৈরি করতেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

সাক্ষাতকারে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আমি আমার আওয়াজ তুলতে পারি এবং আমি তা করিও। আমি মাঝে মাঝে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করতে পারি কিন্তু বাকি সবাইকেও তো ঐকমত্যে যোগ দিতে হবে। আমার সবচেয়ে বড় হতাশা হলো—এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে বা অন্ততপক্ষে মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার শর্ত তৈরি করার ক্ষমতা না থাকা।

গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে অস্বীকার করা কেবল উগ্রপন্থীদের উৎসাহিত করবে এবং সংঘাতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রসারিত করবে। ইসরায়েল সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে গত সপ্তাহে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান যেভাবে স্পষ্ট করে বারবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, এই প্রত্যাখ্যান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্রের অধিকার অস্বীকার করা অনির্দিষ্টকালের জন্য একটি সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে। এ সংঘাত বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনে সহিংসতার অন্তহীন চক্র থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। এটিকে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণের একমাত্র উপায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার সমগ্র জনগোষ্ঠী এমনভাবে এবং গতিতে ধ্বংসের শিকার হচ্ছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। কোনো কিছুই গাজার জনগণের সম্মিলিত শাস্তিকে ন্যায্যতা দিতে পারে না।