আফ্রিকায় বাড়ছে ওয়াগনারের দাপট

আফ্রিকায় বাড়ছে ওয়াগনারের দাপট

ফাইল ছবি

আফ্রিকায় নতুন খেলা খেলতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে অবশ্য তেমনটাই বলা হয়েছে।

ওয়াগনার বাহিনী নিয়ে গত বছর তোলপাড় হয়েছিল বিশ্বে। এই বাহিনীটির তৎকালীন প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন খোদ পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিলেন। তারপর ঘটে যায় নানা ঘটনা।

এই ভাড়াটে যোদ্ধাদের গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়েই ২০১৮ সাল থেকে আফ্রিকায় আধিপত্য দেখাচ্ছেন পুতিন। লিবিয়ায় ওয়াগনারের উপস্থিতিতেই শুরু। বিদ্রোহী প্রিগোজিনের রহস্যজনক মৃত্যুর পর বাহিনীটির ভবিষ্যত আফ্রিকায় অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। তবে পুতিন নামেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার খেলায়।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‍য়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) দাবি করেছে, বাহিনীটিকে ভেঙে দেওয়ার বদলে প্রিগোজিনের মৃত্যুর পর বিদেশে অবস্থান করা ওয়াগনার যোদ্ধাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউকে। মূলত আসল দায়িত্ব পেয়েছেন রুশ জেনারেল আন্দ্রেই আভেরিয়ানভ। ইউক্রেনে বর্তমানে ওয়াগনার লড়ছে‘ভলান্টিয়ার কোরের’ অওতায়। অন্য দেশগুলোতে এই বাহিনীর নাম ‘এক্সপিডিশনারি কোর’।

খনিজ সম্পদ ও জ্বালানির সমৃদ্ধ মহাদেশ আফ্রিকা। লিবিয়ার সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল ও সোনার মজুদ। ভৌগোলিক দিক দিয়েও দেশটি নাইজার, চাদ, সুদান ও ইউরোপের সাথে যুক্ত।

সেই সুযোগ নিতেই ওয়াগনারের দায়িত্ব পাওয়ার পরই আফ্রিকায় মন দিয়েছেন জেনারেল আন্দ্রেই আভেরিয়ানভ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালি, বুরকিনা ফাসো, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও নাইজার সফরের পর লিবিয়ায় গিয়ে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রধান ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারের সঙ্গে দেখা করেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি যে প্রস্তাবটা দিয়েছেন, তা হলো নিরাপত্তার বিনিময়ে সম্পদ।

বর্তমানে লিবিয়ায় ‘এক্সপিডিশনারি কোরের’ আটশ’র মতো যোদ্ধা অবস্থান করছে। এ ছাড়া সাব-সাহারায় বাহিনীটির আরও প্রায় ৪ হাজার ৬০০ যোদ্ধা রয়েছেন। দিনে দিনে সেই প্রভাব আরো বাড়ছে।