আদালতে আত্মসমর্পণ ড. ইউনূসের, বাড়লো জামিনের মেয়াদ

আদালতে আত্মসমর্পণ ড. ইউনূসের, বাড়লো জামিনের মেয়াদ

সংগৃহীত ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। তবে কতদিনের জামিন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ১৬ এপ্রিল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামি উপস্থিততে রবিবার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এর আগে, রবিবার গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেন। 

গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণের জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টায় শ্রম আপিল আদালতে হাজির হবেন। কারণ সেদিন তাদের এক মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে। সেই মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে দাখিল করেছে তারা। একই দিনে সেই মামালার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেইদিন আদালতে হাজির হবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।