কেটে ফেলা গাছের পাশে নতুন চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

কেটে ফেলা গাছের পাশে নতুন চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

ছবি- নিউজজোন বিডি

ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈশাখী মঞ্চ নির্মাণ করতে পুরোনো গাছ কর্তনের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ অব্যহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কেটে ফেলা তিনটি গাছের পাশে নতুন করে চারটি চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। সকাল সাড়ে দশটায় এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এসময় রোপিত গাছে ‘গাছ কাটা নিষেধ’ উল্লেখ করে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে গাছ কেটে ও একাডেমিক ভবনের পাশে মঞ্চ নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে দিনভর শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৈত্রী।

এদিকে, বেলা ১১টায় কেটে ফেলা গাছের পাশে অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের মাঝে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরাও চাই বৈশাখী মঞ্চ নির্মাণ হোক তবে গাছ কেটে ও একাডেমিক ভবনের পাশে মঞ্চ চাইনা। মঞ্চ হোক খোলামেলা পরিবেশে, একাডেমিক ভবনের পাশে নয়। বিশ^বিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন তবে শিক্ষা ও পরিবেশ নষ্ট করে নয়।

এছাড়া একাডেমিক ভবনের পাশে মঞ্চ নির্মাণ না করা ও কর্তনকৃত গাছের সমপরিমাণ মূল্যের নতুন গাছ রোপনের দাবিসহ পাঁচ দাবিতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীয়াশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ঐক্যমঞ্চ’। স্মারকলিপিতে বলা হয়, দুইটি একাডেমিক ভবনের মাঝে পরিবেশ বান্ধব গাছ কর্তন করে বৈশাখী মঞ্চ স্থাপন সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা এবং পড়ালেখার পরিবেশের বিঘœ হবে। তারা মঞ্চ নির্মাণে নতুন জায়গা নির্ধারণ করতে ঐক্যমঞ্চের সঙ্গে সমন্বয়ের দাবি জানান।

এরআগে গত রবিবার মঞ্চ তৈরীর জন্য দুই যুগ পুরোনো তিনটি গাছ কাটা হয়। গাছ কাটা শুরু হতেই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গাছ কাটা বন্ধে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাধার মুখেই গাছগুলো কাটা হয়। পরের দিন সোমবার গাছের পাশে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। এছাড়া পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, ‘জায়গা পরিষ্কার না হলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ডিসিশন পেন্ডিং আছে। ভিসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে এলে সম্মিলিতভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’