ব্লিঙ্কেনের সিউল সফরের মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

ব্লিঙ্কেনের সিউল সফরের মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

ছবিঃ সংগৃহীত।

গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর মধ্যেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেন যখন প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক সে সময়ই পূর্ব জলসীমার দিকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

সোমবার মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগরের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া ১১ দিনের তথাকথিত ফ্রিডম শিল্ড যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করার কয়েকদিন পরই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করে আসছে। এসব মহড়াকে আগ্রাসনের মহড়া বলেও অভিহিত করা হয়েছে।

পিয়ংইয়ং চলতি মাসের শুরুর দিকে সতর্ক করেছিল যে সিউল এবং ওয়াশিংটনের চলতি বছরের এই সামরিক মহড়ার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। আগের বছরের তুলনায় এবারের মহড়ায় দ্বিগুণ সৈন্য যোগদান করেছে। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি একটি কৌশলগত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।

ব্লিঙ্কেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠার কিছু সময় আগেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কেরিয়া। চলতি বছর গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে দক্ষিণ কোরিয়া।

এই সম্মেলন শেষে এশিয়ার আরও একটি দেশ সফর করবেন ব্লিঙ্কেন। ১৮ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরা এতে অংশ নেবেন।সিউল হচ্ছে ওয়াশিংটনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৭ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে। পারমাণবিক অস্ত্রধর উত্তর কোরিয়ার হামলা থেকে রক্ষা করতেই এই ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সিউলের রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ওয়াশিংটনের পাশাপাশি জাপানের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।