বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার

ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। প্রায় তিন বছর ধরে চলছে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। প্রথমে এই ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল ৯৮ কোটি টাকা। পরবর্তীতে বাফুফের এলইডি ফ্লাইডলাইটের চাহিদা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধিতে সংস্কার বাজেট গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৮ কোটি টাকার বেশি।

৫০ কোটি টাকার বড় কোনো বাজেট অনুমোদন হয় একনেক সভায়। একনেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বাজেট অনুমোদন হয়েছে বেশ আগেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্বাচন ও কিছু ব্যস্ততায় এতদিন বর্ধিত বাজেটের টেন্ডার আহবান করতে পারেনি। 

গত সপ্তাহে ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এপ্রিলের ৮ ও ১৮ এই দুই তারিখে বিভিন্ন টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিনক্ষণ ছিল। দরপত্র প্রাপ্তির পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এপ্রিলের মধ্যেই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। মে মাসে কার্যাদেশ প্রদান করে ছয় মাস সময়সীমা দেওয়ার পরিকল্পনা ঠিকাদারদের।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শামসুল আলম টেন্ডার সম্পর্কে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এলইডি ফ্লাডলাইটের জন্য ৩৮-৩৯ কোটি টাকা, গ্যালারি শেডে ১১ কোটি, চেয়ার ৪ কোটি, মিডিয়া বক্স, রাস্তা মেরামত, ডাক্তার রুম ও আনুষাঙ্গিক কিছু মেরামত-সংস্কার মিলিয়ে আরও ৫-৬ কোটি টাকার টেন্ডার আমরা আহবান করেছি। টেন্ডার প্রাপ্তির পর আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাছাই করে কার্যাদেশ প্রদান করব। সকল ঠিকাদারকে আমরা ৬ মাস সময়ের মধ্যে কাজ শেষের নির্দেশ দিয়েছি।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাই দুই মাস হাতে রেখেই ঠিকাদারদের সময় দেবে বলে জানান এনএসসি পরিচালক, ‘ফ্লাডলাইট সম্পূর্ণ নতুন করে হবে। এছাড়া অন্যগুলো মোটামুটি কিছুটা হলেও করা আছে। ডিসেম্বর আমাদের সময়সীমা, এরপরও আগেই সম্পন্ন করতে চেষ্টা করব।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৮ হাজার চেয়ার বসবে। এই চেয়ারের জন্য ৪ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। চেয়ারপ্রতি ব্যয় পড়ছে বাইশ’শ টাকার একটু বেশি। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি সেখানকার রাস্তাও সংস্কার হবে। এই পথে প্রতিনিয়ত কয়েক লাখ লোক যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে ভাঙা এবং এবড়ো-থেবড়ো রাস্তার জন্য।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স (মাঝে-মধ্যে সাইক্লিং) স্টেডিয়াম ব্যবহার করে মূলত। নতুন অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, অ্যাথলেটিক্সের সরঞ্জাম, ফুটবল মাঠ সংস্কার, মিডিয়া বক্স নির্মাণ ও গ্যালারি শেডের আংশিক কাজ হয়েছে। মাঠের কাজ শেষ হওয়ার পর ফুটবল ফেডারেশন মাঠে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নতুন টেন্ডার বাস্তবায়ন হওয়ার পর ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটাই দেখার বিষয়।