এবার টিকটক মামলা করলো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে

এবার টিকটক মামলা করলো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে

ফাইল ছবি।

জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ‘টিকটক’র পক্ষ থেকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চীনা মালিকানাধীন টিকটক আমেরিকানদের কাছে অবিলম্বে বিক্রি করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে তা নিষিদ্ধ করার যে বিধি হয়েছে সেটিকে চ্যালেঞ্জ করেই এ মামলা হলো। এটি নিষিদ্ধ করার ফলে বাক স্বাধীনতা রহিত হয়ে যাবে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে। 

এরফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বাক স্বাধীনতার ইস্যুটি সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পওি হতে হবে।কয়েক কোটি আমেরিকান নিজেদের মতামত এবং বক্তব্য অবাধে অন্যের সাথে শেয়ার করছেন টিকটকের মাধ্যমে। সেই জনপ্রিয় মাধ্যমটিকে নিষিদ্ধ করা হলে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘিত হবে বলে মামলায় টিকটক উল্লেখ করেছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, টিকটক আমেরিকায় টিকে থাকার অভিপ্রায়ে আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি অন্যভাবেও দেন-দরবার চালাবে। দায়েরকৃত মামলাটির বিচার সহসাই সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হতে পারে বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।টিকটক ব্যবসার সাথে বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ভাগ্যও জড়িত। উদ্যমী ব্যবসায়ীরা টিকটক অ্যাপ ব্যবহার/বিক্রি করে জীবিকার্জনের অন্যতম একটি অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে যারা কনটেন্ট ক্রিয়েট করছেন এই প্ল্যাটফরমে, তাদের খুবই সমস্যা হবে। জাতীয় নির্বাচনের বছর হওয়ায় ইস্যুটি অনেকের জন্যেই বিব্রতকর বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় এই অ্যাপ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করার খেসারত দিতে হতে পারে উভয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই।  যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপ ব্যবহারকারির সংখ্যা ১৭ কোটিরও বেশী অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ব্যবহার করছে। আর এটি রাজনৈতিক মতবাদ/মন্তব্য প্রচারের পাশাপাশি নাচ-গানও প্রদর্শন করছে। পারস্পরিক মতামত/মন্তব্য বিনিময়ে এটি বর্তমানে সবচেয়ে উত্তম একটি প্ল্যাটফরম বলে সকলের ধারণা। মার্কিন প্রশাসনের আশংকা, টিকটকের মাধ্যমে আমেরিকানদের অনেক গোপন তথ্য চায়নিজদের হস্তগত হচ্ছে।

এজন্যেই রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাট-উভয়ে মিলেই নিষিদ্ধের বিলটি পাশ করেছেন। এবং ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেখানে স্বাক্ষরের পরই তা বিধিতে পরিণত হয়েছে। ৯ মাস সময় রয়েছে টিকটকের মালিকানা চীনা নন এমন কারো কাছে হস্তান্তরের। অন্যথায় তা আপনাআপনি আমেরিকায় নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।