সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর চাচা নিহত

সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর চাচা নিহত

প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের চাচা আবদুল আলিম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১২ মে) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবদুল আলিম বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে। আটককৃতরা হলেন একই গ্রামের চান মিয়া, রাসেল ও আবুল।

নিহতের স্বজনরা জানান, বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী ছিলেন। ৮ মে ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সরকার বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর খালেক মেম্বরের নেতৃত্বে আব্দুল আলিমের ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে আমিনুল ইসলামের লোকজন।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকে রোববার রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, ‘নিহত আব্দুল আলিম আমার চাচা। দোয়াত কলমের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আমার রক্ত নিয়ে হোলি খেলবেন। আমাকে মারতে না পেরে আমার কর্মীদের হত্যা করেছেন তিনি। আমি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানার ওসি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, ‘নির্বাচনের দিন রাতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুল আলিম নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’