উপাচার্যের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুবি শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

উপাচার্যের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুবি শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি: প্রতিনিধি

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। গত ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানেনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৮মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন শিক্ষকরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়।

শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, বিগত কয়েক শত ধরে এই অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে যে একটা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন ছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ বছর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ২৮ মে এই অঞ্চলের সব থেকে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা দিবস। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নির্বিকার।

তিনি আরও বলেন, তারা এখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা চিঠি দিয়ে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে, তা নিন্দা জানানো ছাড়া আমাদের আর কোন ভাষা নেই। তবে এটি আনন্দের বিষয় যে, আজকের দিনটি সন্ত্রাসী উপাচার্য মঈন ছাড়া উদযাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

এসময় শিক্ষক সমিতি সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় কে মনে ধারণ করেন, তারা আজকের মতো দিনে উপস্থিত থাকতো। কিন্তু সন্ত্রাসী উপাচার্যের কারণে আজকেই দিনটি জমকালো আয়োজনে উদযাপন করা হয়নি। উপাচার্য বিতাড়িত না হওয়ার পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের জন্য কমিটি কেন গঠন করা হয় নাই এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সেজন্য উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে একটা নিদিষ্ট দিনে দিবস উদযাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে এই দিবস পালন করা হবে।