বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ ৭ দাবিতে মানববন্ধন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ ৭ দাবিতে মানববন্ধন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও

ছবি: প্লাবন দাস জিকু

বিড়ি শিল্পে শুল্ক প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও করে শ্রমিকরা।

এসময় শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আমলের মতো বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, বিড়ির অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর দালালী বন্ধ করা, অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারমান বরাবর সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্প বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা থাকলে সারাদেশের ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।

হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ, বিধবা ও অনাহারে পীড়িত মানুষের বেকারত্বের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের মতো বিড়ি শিল্পে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন বলেন, বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় নকল বিড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং এসব অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করা হলে বছরে আরও ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে। এছাড়া বর্তমানে দেশে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর। বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে। বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করে এই শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণার দাবি জানান তিনি।   

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।