জন্মদিনে ‘হুমায়ূন ফরীদি: সাধারণ এক অসাধারণ’ প্রকাশ

জন্মদিনে ‘হুমায়ূন ফরীদি: সাধারণ এক অসাধারণ’ প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর এক যুগ পর অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে প্রকাশিত হলো বই। ‘হুমায়ূন ফরীদি: সাধারণ এক অসাধারণ’ বইয়ের নাম। এতে ফরীদিকে নিয়ে স্মৃতিকথায় ডুব দিয়েছেন ৬০ জন মানুষ। আর সেই বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রয়াত অভিনেতার কাছের বন্ধু আরেক অভিনেতা আফজাল হোসেন।

বইটির মোড়ক উন্মোচনের জন্য বেছে নেওয়া হয় ২৯ মে অর্থাৎ ফরীদির ৭২তম জন্মদিনকে। এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় ফরীদিকে নিয়ে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

‘হুমায়ূন ফরীদি: সাধারণ এক অসাধারণ’ বইটি সম্পাদনা করেছেন আহমেদ রেজাউর রহমান। আর যে ৬০ জন মানুষ ফরীদির সঙ্গে তাদের নানান স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন, তারা প্রত্যেকে শিল্প-সংস্কৃতি জগতের মানুষ।

রেজাউর রহমান বলেন, যারা বইটিতে লিখেছেন, তারা সবাই হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। জীবনযাপন নিয়ে, অন্য স্মৃতি নিয়ে তার অভিনয়ের বন্ধুরাই লিখেছেন তাকে নিয়ে। আমি লেখাগুলো সম্পাদনা করেছি।

তিনি জানান, নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদার থেকে শুরু করে জয়া আহসান, এ সময়ের অভিনেতা আফরান নিশোসহ আরও অনেকের লেখা আছে বইয়ে। লিখেছেন পরিবারের সদস্যরাও।

১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকায় জন্ম ফরীদির। পড়ালেখা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। মঞ্চে তার ‘ত্রিরত্ন’ , ‘কীত্তনখোলা’, ‘মুন্তাসির ফ্যান্টাসি’, ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটক বিখ্যাত। মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি দিয়েছেন নির্দেশনাও।

‘নীল নকশার সন্ধানে’, ‘দূরবীণ দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’, কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘গুপ্তধন’, ‘সংশপ্তক, ‘ভবের হাট’, ‘কোথাও কেউ নেই’সহ বহু টিভি নাটকে অভিনয় করে ফরীদি পান তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে ‘সংশপ্তক’ ধারাবাহিকে ‘কান কাটা রমজান’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজেকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়।

পরে সিনেমাতেও আসেন ফরীদি। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘একাত্তরের যিশু’, ‘সন্ত্রাস’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’ ও ‘শ্যামলছায়া’ অন্যতম। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার খল চরিত্র করেও তিনি খ্যাতি পান।

‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ূন ফরীদি।