বাজেটের পর দেশ বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে: জি এম কাদের

বাজেটের পর দেশ বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে: জি এম কাদের

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব বাজেট হতে পারে না। কারণ, বাজেটে সাধারণ মানুষের স্বস্তির কোনো কারণ নেই। বাজেটের পর দেশ একটা বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর সংসদ থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমে এ কথা বলেন জি এম কাদের। 

তিনি বলেন, গতানুগতিক বাজেট এটা; বিশেষ কিছু নেই। বেকার সমস্যা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ডলারের অবমূল্যায়ন, এসব উত্তরণে কোনো পদক্ষেপ নেই বাজেটে। ঘাটতি থাকবে অনেক টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় হবে বেশি। দেশি-বিদেশি ঋণ বাড়বে। ঋণ পরিশোধে নতুন করে ঋণের পথে হাঁটছে সরকার।

বিরোধীদলীয় এই নেতা বলেন, বাজেটে বিপুল অংক ঋণনির্ভর। করের বোঝা বাড়বে জনগণের ওপর। মানুষ কোনোভাবেই স্বস্তি পাবে না। গরিব মানুষের জন্য কিছু আছে বাজেটে, এটা মনে করি না। সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বলেন অর্জনের, আমরা বলি লজ্জার খাত এটা। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মাধ্যমে ডলার চলে যাচ্ছে বাইরে।

 

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের জাতীয় বাজেট পেশ করছেন। এই বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হলো। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।