গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই আনারুল ইসলাম শ্যামল (২৯) এর কোদালের আঘাতে আহত বড়ভাই শামসুল হুদার (৪২) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আনারুল ইসলামের স্ত্রী গোলাপী বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত শামসুল হুদা উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম একে অপরের সৎ ভাই। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ। এরআগে শুক্রবার রাতে বগুড়ার একটি বেসসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সামছুল হুদার মৃত্যু হয়।

এরআগে গত ৫ জুন বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার তালুককানুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর এলাকার হাফিজার রহমানের দুই স্ত্রীর তিন সন্তানের মাঝে বেশ কিছুদিন থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

এরই এক পর্যায়ে গত ৫ জুন বিকেলে সামছুল হুদা ও তার ছোট ভাই শাহীন মোটর সাইকেলে চড়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে অভিযুক্ত সৎ ছোটভাই আনোয়ারুল ইসলামের বাড়ির সামনে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরুা হয়। এ সময় আনোয়ারুল কোদাল দিয়ে সামছুল হুদার মাথায় আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে গেলে মাথায় কোদালের আঘাত পায় ছোট ভাই শাহীনও।

স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তাদের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হলে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ছোট ভাই শাহীন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাবনি আকতার বাদী হয়ে অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম শ্যামল ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গোলাপী বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় গোলাপী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মামলার মূল আসামী আনারুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে