চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

প্রতীকী ছবি

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আল আমিন (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৩০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত শহরের পুরান বাজারের মধুসুদুন উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন মেরকাটিস রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আল-আমিন পুরানবাজার এলাকার আ. মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের বাবা।

সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের এ এস আই মনিরুল, কনস্টেবল আল-আমিন, স্বপন এবং স্থানীয় রাশেদ, কামাল, শাকিল, রহমান, জসিম, আল-আমিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়। আহতদের অনেকে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার পরপর চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এনামুল হক চৌধুরী, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মো. মুহসীন আলম হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এলাকাবাসী জানায়, চাঁদপুর পুরানবাজার ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি অন্তরের সঙ্গে পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝির ছেলে সজিব মাঝির সঙ্গে এর পূর্বে কয়েক-দফা মারামারি হয়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

নিহতের পিতা আ. মজিদ খান ডেঙ্গু জানায়, আমার ছেলেকে যে গুলি করে মেরেছে তার ফাঁসি চাই।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন পূর্বে পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের রনি নামে এক কিশোরের সঙ্গে নিতাইগঞ্জরোডের জুয়েল নামের অপর কিশোরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মূলত ওই ঘটনাটা কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় নিতাইগঞ্জরোডে যুবকদের সঙ্গে মেরকাটিজ রোড এলাকার যুবকদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে দুই পক্ষ একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, আল-আমিন নামে ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথার ডানপাশে গুলির আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গুলির আঘাতে মারা গেছেন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদিপ্ত রায় বলেন, আগে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। তা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই সংঘর্ষে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমারা অভিযানে আছি। শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।