বিশ্বে বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

বিশ্বে বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ১২ কোটিতে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট এবং সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থীর মোট সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এদের অনেকে অভ্যন্তরীণভাবে নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতগুলোর সমাধান না হওয়ার কারণে এই সংখ্যা ঐতিহাসিক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে, মোট বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যাকে বিশ্বের ১২তম শীর্ষ জনসংখ্যার দেশ জাপানের মোট জনসংখ্যার পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। 
সুদানের সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটি চলা সংঘাতে ৭১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর এর আগেই দেশটিতে আরো ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত ছিল। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ মোট ১০ লাখ ৮০ হাজার সুদানি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

গত বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও মিয়ানমারে ভয়াবহ লড়াইয়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএয়ের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর বলেছে, গাজা উপত্যকায় ১৭ লাখ লোক; যা মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ ‘বিপর্যয়কর সহিংসতার’ কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই একাধিকবার আশ্রয়হীন হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে অনুসারে, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট’ রয়েছে সিরিয়ায়। দেশটিতে এবং দেশের বাইরে মোট বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ।