নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

সংগৃহীত

১৬০ রানের মাঝারি লক্ষ্য দিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে মিডল ওভারে বেশকিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নেদারল্যান্ডস। ১৪ ওভার পর্যন্ত ডাচদের হাতেই ছিল নিয়ন্ত্রণ। তবে ১৫তম ওভারে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন রিশাদ হোসেন। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই দুজনের অসাধারণ বোলিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেশের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেতে ১৩৪ রান করেছে ডাচরা। 

এই জয়ের সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখল টাইগাররা। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে পা না ফসকালেই সেরা আটে জায়গা করে নেবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 
লক্ষ্যতাড়ায় নেমে দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন লেভিট। 
পরের ওভারেই আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। ম্যাক্স ও'ডাওডের মারা জোরালো বল বোলিং প্রান্তে থেকে তালুবন্দী করে ফেলেন এই পেসার। ১৬ বলে ১২ রান করেন ও'ডাওড। 
পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর ডাচদের ম্যাচে ফেরান বিক্রমজিত সিং। সাকিবের এক ওভারে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটও বেশ ভালো সঙ্গ দিয়েছেন তাকে।
ইনিংসের দশম ওভারে স্টাম্পিংয়ে বিক্রমজিতকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ রান করেছেন এই ব্যাটার। বিক্রমজিতের বিদায়ের পর ৪২ রানের দারুণ জুটি গড়েন এঙ্গেলব্রেখট এবং স্কট অ্যাডওয়ার্ডস।  
এঙ্গেলব্রেখট এবং অ্যাডওয়ার্ডসের ব্যাটে জয়ের পথেই হাঁটছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু বাধ সাধেন রিশাদ। ১৫তম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে খেলার মোড় ঘুরান তিনি। ১৭তম ওভারে অসাধারণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারে কোনো রান না দিয়ে অ্যাডওয়ার্ডসকে ফেরান মুস্তাফিজ। 
মুস্তাফিজের পরের ওভারে আবারও উইকেট নেন রিশাদ। এই ৩ ওভারই ঘুরিয়েছে ম্যাচের মোড়। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।  
৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। মুস্তাফিজুর রহমান ১ উইকেট পেলেও ইকোনমি ছিল দেখার মতো। ১২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাসকিন নিয়েছেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তানজিম সাকিবের ঝুলিতে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আরিয়ান রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। ৩ বলে ১ রান করেছেন টাইগার অধিনায়ক। 
শান্তর বিদায়ের পর উইকেটে এসে দ্রুতই ফেরেন লিটন দাস। এই উইকেটটাও নিয়েছেন আরিয়ান। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে আরিয়ানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে। ২ বলে ১ রান করেছেন তিনি। 
দলীয় ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দারুণ জুটি গড়েন সাকিব এবং তানজিদ তামিম। ৩২ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে দলীয় ৭১ রানে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফেরায়। নবম ওভারে ফন মিকেরেনের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তানজিদ। ২৬ বলে ৩৫ রান করেছেন তরুণ এই ব্যাটার। 
এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অন্য প্রান্তে একটু একটু করে এগিয়েছেন সাকিব। ৩৮ বলে তুলে নেন বহুল প্রত্যাশিত ফিফটি। ২০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই ব্যাটার। 
ফিফটির পর শেষের দিকে রানের গতি বাড়িয়েছেন সাকিব। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। শেষদিকে ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন জাকের আলী। তাতে ১৫৯ রানে থামে বাংলাদেশ।