১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ঘোষণা রসিক মেয়রের

১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ঘোষণা রসিক মেয়রের

সংগৃহীত ছবি

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর সহায়তা চেয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ঈদের প্রথম দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সিটি করপোরেশন থেকে পরিচ্ছন্ন নগর উপহার দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি ট্রলি ও রিকশা-ভ্যান যাচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলা।

সোমবার রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বর্জ্য অপসারণে ১২ ঘণ্টা সময় চান রসিক মেয়র।

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১১৭টি স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানগুলো ছাড়া যাতে কেউ উন্মুক্ত স্থান ও সড়কের ওপর পশু জবাই না করেন, এজন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে। আমরা চাই নগরবাসীকে ঈদের দিনেই পরিচ্ছন্ন নগর উপহার দিতে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করা।

তিনি আরও বলেন,‌ পশু কোরবানির পর বর্জ্যের দুর্গন্ধ রোধে ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছ। সবাই সচেতন হলে ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব। এ জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের প্রতি আহ্বান- যেখানে সেখানে পশুর বর্জ্য না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলুন। আমাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা অপসারণ করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, সচিব জয়শ্রী রানী রায়, প্যানেল মেয়র ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অঞ্চল প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, মাসুদ হাসান ও হাসান রাফি প্রমুখ।

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (অঞ্চল-১) প্রধান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ঈদের দিন কোরবানির পশুর ২৫০ টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং করা হবে।

তিনি আরও জানান, সিটির ১ হাজর ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। এতে ১২০টি ট্রলি ও রিকশা-ভ্যান এবং ২৭টি ডাম্প ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে হুইল লোডার, ব্যাকো লোডার, স্পিড লোডার, স্কাভেটর ও পানিবাহী গাড়ি রয়েছে। তিন জোনে মনিটরিং টিম এসব দেখভাল করছে