মিসের মহড়ায় নেদারল্যান্ডস-ফ্রান্সের অপেক্ষা বাড়লো

মিসের মহড়ায় নেদারল্যান্ডস-ফ্রান্সের অপেক্ষা বাড়লো

সংগৃহীত

আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ, মিসের মহড়া, গোল দিয়েও অফসাইডে বাতিল হওয়া; শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস-ফ্রান্সের লড়াইয়ে হাসতে পারেনি কেউ। দাপুটে ফুটবল খেলেও ফরাসিদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে। এতে দুই দলেরই শেষ ষোলোতে যাওয়ার অপেক্ষাও বাড়লো।

লিপজিগ স্টেডিয়ামে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় লড়াইয়ে নামে নেদারল্যান্ডস-ফ্রান্স। গ্রুপ ‘বি’ থেকে এই লড়াইয়ে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান চার, শেষ ম্যাচের উপর নির্ভর করছে নক আউট পর্বে যাওয়া না যাওয়া।

শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া, আর ফ্রান্স মুখোমুখি হবে পোল্যান্ডের। অস্ট্রিয়াও নকআউট পর্বে যাওয়ার রেসে আছে, তবে দুই ম্যাচেই হেরে ছিটকে গেছে পোল্যান্ড।

শুরু থেকে ডাচদের চাপে রাখে ফ্রান্স। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণের ধারও বাড়তে থাকে। বিরতির আগে গ্রিজম্যান চারটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলের দেখা পাননি। ডাচদের হয়ে গাকপোও একটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। 

বিরতির পর গ্রিজম্যান-র‍্যাবিওট-চুয়োমনির আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ডাচ রক্ষণভাগ। তবুও হাল ছাড়েনি তারা। গ্রিজম্যান সহ সুযোগ মিস করেন। তবে শেষ দিকে গোল দিয়েও অফসাইডে বাতিল হয় সিমন্সের শট। ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিলেও লাভ হয়নি। 

আক্রমণে-বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। ১৪টি শট নেয় দলটি। এত আক্রমণের পরও গোল না পাওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ১৮ শট নিয়েও গোল দিতে পারেনি। অন্যদিকে মাত্র ৮টি শট নিতে পারে ডাচরা।