গরুর লাম্পি ভাইরাসে আতঙ্কিত জামালপুরের খামারিরা

গরুর লাম্পি ভাইরাসে আতঙ্কিত জামালপুরের খামারিরা

ছবি:সংগৃহীত

জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর স্কিন ডিজিজ লাম্পি ভাইরাস। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক এলাকার ছোটো ছোটো খামারে।মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লাম্পি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন।

তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, গরুর বাড়তি পরিচর্যাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সেরে যাবে এই ভাইরাস।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার ৭টি উপজেলাতেই লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। এ ভাইরাস দ্রুত জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গরুর বেঁচে যাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম থাকে। তবে এ ভাইরাসে ছোট গরুই বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত গরুর প্রথমেই ১০৬ থেকে ১০৭ ডিগ্রি জ্বর হয় এবং চামড়ার নিচে ফুলে গুটি হয়। পরে সেই গুটি পেকে বা গলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষত আস্তে আস্তে বড় হয়। এই ক্ষত থেকেই গরু মারা যায়।

সদর ও ইসলামপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গরুর শরীরে চামড়ার নিচে ছোট ছোট ফোলা গুটি। শরীরে হাত দিয়ে দেখা যায় তাপমাত্রাও অনেক। রোদে ও গরমে গরু হাঁসফাঁস করছে। আক্রান্ত গরু খাবার খাচ্ছে খুব কম।

এ বিষয়ে কয়েকজন খামারি বলেন, গ্রামের কৃষক বা গৃহস্থ সবার ঘরে কম-বেশি গরু থাকে। আর এসব গরুর লালন পালন নারীরাই করে থাকেন। ওইসব প্রান্তিক নারীরা একটি বা দুটি গরু পালন করে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেন। এ অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করে গরুর লাম্পি ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাসজনিত এই রোগের এমন সংক্রমণে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছোট-বড় প্রান্তিক খামারিরা।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ভাইরাসে গরু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শে গরুর বাড়তি পরিচর্যা করলেই লাম্পি ভাইরাস সেরে যাবে।’