ভারত থেকে পাইপলাইনে আনা হচ্ছে ৭ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল

ভারত থেকে পাইপলাইনে আনা হচ্ছে ৭ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল

ছবি: সংগৃহীত

দেশে পর্যাপ্ত ডিজেল মজুত থাকলেও তেল পরিবহনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত ওয়াগন দিতে না পারায় উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারছেন না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এর প্রেক্ষিতে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে চার হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে চার হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পৌঁছাবে বলে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নিশ্চিত করেছেন বিপিসি চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান। সাত হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির জন্য গত সপ্তাহে এলসি খোলা হয়। বুধবার ভোররাত পর্যন্ত চার হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পার্বতীপুরে পৌঁছাবে। বাকি তিন হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আগামী সপ্তাহে আসবে।

বিপিসির একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তেল পরিবহনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত ওয়াগন দিতে পারছে না। ফলে দেশে পর্যাপ্ত ডিজেল মজুত থাকলেও উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাত হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

বিপিসি চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, দৌলতপুর থেকে রেল ওয়াগনে করে পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত কিছু দিন পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে উত্তরাঞ্চলে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে। দ্রুততম সময়ে ডিজেল পৌঁছে দিতে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি (এনআরএল) থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ শুরু করে। ৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩১.৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ করা হয়। ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাইপলাইনে দৈনিক অতিরিক্ত ২৯ হাজার টন জ্বালানি মজুত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। ভারতের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় পাইপলাইনের পুরোটাই নির্মাণ হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন।