শেখ হাসিনাকে এক চুল সরানোর ক্ষমতা কারো নেই: শামীম ওসমান

শেখ হাসিনাকে এক চুল সরানোর ক্ষমতা কারো নেই: শামীম ওসমান

ছবি:সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, সমস্ত শক্তি এক হয়েছে জাতির পিতার কন্যার বিরুদ্ধে। ৭১ সালে বহু বড় বড় শক্তি এসেছিলো। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ভায়েরা তখন বন্দুকও দেখে নাই। কিছু ক্ষয়ক্ষতি হবে, কিন্তু বিন্দু পরিমান টেনশন করবেন না। শেখ হাসিনাকে এক চুল সরানোর ক্ষমতা এদের  নাই। 

মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে আওয়ামী লীগের এক কর্মী সভায় একথা বলেন তিনি। 

শামীম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে অবগত আছেন এবং তিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য ম্যাসেজ দিয়েছেন, এটা সরকারি কোন ম্যাসেজ না। আমরা আগস্টেও তিন তারিখ সমাবেশ করার কথা নেত্রীকে বলেছি, তিনি বলেছেন এখন না। তুমি নেতাকর্মীদের বলে দাও যার যার এলাকায় ও ওলি গলিতে তারা যাতে পাহারায় বসে। স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গি যাতে রাস্তায় না নামতে পারে।  অনেক হাইব্রিড ঘরে বসে আছে।

তিনি বলেন, ধরে নিলাম প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবে না, তাহলে কে থাকবে! যারা রাস্তার মধ্যে মেয়েদের উলঙ্গ করে কাপড় খুলে নিয়ে হাত দিয়ে ছিন্ন বিছিন্ন করে তারা? যারা মেট্রোরেলে আগুন দিচ্ছে তারা?। আমাদের সাধারণ ছাত্রদের কানের উপর বন্দুক দিয়ে তারা এই গেইমটা খেলছে। ছাত্ররা যদি তাদের থেকে সরে যেতো, ছাত্র নামটা যদি না থাকতো, তাহলে তাদের সাথে মোকাবেলা করা আমার কাছে ১ ঘণ্টার ব্যাপার। ছাত্রদের সব দাবি তো পূরণ করা হয়েছে, আমাদের দল থেকে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  আওয়ামী লীগেরও কিন্তু মোশতাক ছিলো, সামনেও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াত এবং শিবিরকে বাংলাদেশে ব্যান করা হবে। এটা আসলে অনেক আগেই করা উচিৎ  ছিলো।  আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ওরা ওদের মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করবে।  তবে আল্লাহর উসিলায় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আগেও ক্ষমতায় ছিলেন, এখনো আছে, সামনেও থাকবে।

এমপি শামীম ওসমান বলেন, আজকে যে মেয়েরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে, সেই মেয়েদের লেখা পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে, রাস্তায় বের হতে পারবে না। বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানো চেষ্টা করা হবে, এই চেষ্টা আন্তর্জাতিক ভাবে হচ্ছে। নয়তো মমতা ব্যানার্জি বলে না যে, বাংলার দরজা খোলা আছে, তোমরা নক করলে আমরা আশ্রয় দেবো। নয়তো ড. সাব ফ্রান্সে বসে বলে না যে, আগামী নির্বাচনে দিতে হবে ইউনুসের মতো সুদখোর লোকদের।