তিন প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হচ্ছে এক লাখ টন সার

তিন প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হচ্ছে এক লাখ টন সার

ছবি: সংগৃহীত

দেশি-বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ টন সার কেনা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৪৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনা হবে। এ ছাড়া দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে কেনা হবে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সার কেনাসহ মোট ১১টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৫০ ইউএস ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৪৩ দশমিক ১৭ ডলার। আর দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনায় ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৩০ দশমিক ৫০ ডলার।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের টিএসপিসিএল থেকে ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় ক্রয় কমিটির বৈঠকে। এতে ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে, প্রতি টনের দাম ৫৭০ ডলার। টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড। বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ এসিড সরবরাহের কাজ পেয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের (বাপবিবো) বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধনের (খুলনা বিভাগ) জন্য ৭২ হাজার ৮৯৭টি এসপিসি বৈদ্যুতিক পোল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ১৯৩ টাকা।

সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচের লক্ষ্যে দুই হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৬ টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুটি লটে ১০৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭২ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ইডিজিই প্রকল্পের লট-২-এর ইন্সটলেশন অ্যান্ড কমিশনিং ফর এক্সপানশন অব এক্সিস্টিং প্রাইভেট ক্লাউড প্ল্যাটফরম (ডিসি অ্যান্ড ডিআর) ইন ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার অ্যাট ক্রয় করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ টাকা। যৌথভাবে ইএসএল এবং ইউসিসিএল জেভি এ কাজ পেয়েছে।

একই দিন অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রন্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিনটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে– সরকার থেকে সরকার চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন থেকে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘খানপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ’ প্রকল্পটি পিপিপি তালিকা থেকে প্রত্যাহার এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুমোদন।