ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকেই ইসরাইলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই অব্যাহত আছে লেবানন ও ইসরাইল সংঘর্ষ। তবে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও লেবাননে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বেইট হিল্লেলে রকেট হামলা চালানোর দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। 

লেবাননে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ইসরায়েলি আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্সকে উত্তর গ্যালিলি অঞ্চলে একাধিক রকেট প্রতিরোধ করতে দেখা গেছে। ৫০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

লেবাননেনর আল মায়াদিন টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রকেট হামলা প্রতিহত করেছে। বেইট হিলেল, কিরিয়াত শমোনা এবং মিসগাভ আমের বসতিতে রকেট আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগারও খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার দক্ষিণ লেবাননে একাধিক হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে একটি ড্রোন হামলায় দেইর সেরিয়ান গ্রামে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই অব্যাহত আছে লেবানন ও ইসরায়েল সংঘর্ষ।

তবে মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শোকর নিহত হন। এরপরই সব হিসাব নিকাশ বদলে গেছে বলে জানিয়েছে ইরানের জাতিসংঘ মিশন।

এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি, জবাব হিসেবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে আরও বেশি এবং গভীরে হামলা চালাবে। দ্বিতীয়ত হল তারা তাদের হামলা শুধুমাত্র সামরিক অবকাঠামোয় সীমাবদ্ধ রাখবে না।

হিজবুল্লাহ কমান্ডার শোকর নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপরই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, হিজবুল্লাহ ও হামাস একসঙ্গে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পারে।