বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি আইএমএফের

বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি আইএমএফের

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ ও এর জনগণের প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকও। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্স বলছে, ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করেছেন, যা নতুন নির্বাপণের পথ উন্মুক্ত করবে। তেলিমারের মতে, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থার কাছ থেকে নেয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বাংলাদেশে জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশ হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করেছে।

আইএমএফ বাংলাদেশের ঘটনাবলী অনুসরণ করছে এবং প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ও এর জনগণের প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সমর্থন করব বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে আইএমএফের একজন মুখপাত্র।

গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে যে তারা তাদের ঋণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রভাব মূল্যায়ন করছে তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশকে এ বছর ২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বিশ্বব্যাংকের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশী মুদ্রার বন্ড নেই এবং এর স্বল্পমেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণ জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ। ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাজারে প্রতিক্রিয়া সীমিত থাকবে।

দেশটির স্থবির অর্থনীতি বিক্ষোভের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ তরুণ কর্মহীন কিংবা শিক্ষার বাইরে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ এবং ডলারের রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর অবস্থানে নেমে এসেছে। সরকার ও সেনাবাহিনীর নেয়া পরবর্তী পদক্ষেপ বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলো কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।