নেকির পাল্লায় সবচেয়ে ভারী আল্লাহর নাম

নেকির পাল্লায় সবচেয়ে ভারী আল্লাহর নাম

প্রতিকী ছবি

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনু আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সবার সামনে নাজাত দেবেন, তার সামনে ৯৯টি দপ্তর খোলা হবে, প্রত্যেক দপ্তর চোখের দৃষ্টি পরিমাণ লম্বা। অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি এর কিছু অস্বীকার করো? আমার সংরক্ষণকারী লেখকরা তোমার ওপর অবিচার করেছে? সে বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন,  তোমার কোনো অজুহাত আছে? সে বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, নিশ্চয়ই আমার কাছে তোমার একটি নেকি রয়েছে, আজ তোমার ওপর কোনো অবিচার করা হবে না, অতঃপর একটি কার্ড বের হবে, যাতে লেখা রয়েছে, ‘আশহাদু-আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহু।’ 

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। তিনি বলবেন, তোমার (কাজের) ওজন প্রত্যক্ষ করো। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! এতগুলো দপ্তরের সঙ্গে একটি কার্ড কি কাজে আসবে? তিনি বলবেন, নিশ্চয়ই তোমার ওপর অবিচার করা হবে না। তিনি বলেন, অতঃপর সব দপ্তর এক পাল্লায় এবং কার্ডটি অপর পাল্লায় রাখা হবে, ফলে দপ্তরগুলো ওপরে উঠে যাবে এবং কার্ডটি ভারী হবে।আল্লাহর নামের বিপরীতে কোনো জিনিস ভারী হবে না।’

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৬৩৯)

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, উল্লিখিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় আল্লাহর নামের জিকির পরকালে বান্দার মুক্তি লাভে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে। তাই মুমিনের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহর নামের জিকির করা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।’

(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪১-৪২)