নড়াইলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

নড়াইলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে নড়াইল সদর হাসপাতাল চত্বরে এ অভিযোগ করেন স্বজনরা। ঘটনায় জড়িত ডাক্তার মিঠুন বিশ্বাসকে আটক করেছে নড়াইল সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম।

স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, লোহাগড়া উপজেলার শরসুনা গ্রামের পুলিশে কর্মরত ইকবাল শেখের মেয়ে ও তালবাড়িয়া গ্রামের নাইম শেখের স্ত্রী প্রসূতি শান্তাকে নিয়ে উপজেলার জয়পুর মোড়ে প্রত্যাশা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কথা ছিল ভালো ডাক্তার দিয়ে তার সিজার করানো হবে। কিন্তু প্রত্যাশা ক্লিনিকের ডা. মিঠুন বিশ্বাস নিজে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে তার সিজার করেন। সিজারে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিলেও চিকিৎসকের ভুলের কারণে শান্তা অপারেশন থিয়েটারে মারা যান বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। কিন্তু মারা গেলেও কৌশলে তাকে অ্যাম্বুলেসে করে নড়াইল সদর হসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় শান্তার স্বজনরা লোহাগড়া থেকে ডা. মিঠুনকে সঙ্গে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

সদর হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে উত্তেজিত জনতা ডা. মিঠুনকে ঘেরাও করেন। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাক্তারকে আটক করে এনেছি। যেহেতু ঘটনা লোহাগড়া থানার আওতায়, তাই লোহাগড়া থানা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।