যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা উচিত: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা উচিত: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ধনকুবের ইলন মাস্ককে দেওয়া বহুপ্রতীক্ষিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ওই ইচ্ছের কথা জানান। নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টার বেশি সময় পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাক্ষাৎকারটির সরাসরি প্রচার শুরু হয়। বলা হচ্ছে, সাইবার হামলার জেরে এ বিলম্ব ঘটে। খবর বিবিসির।

ট্রাম্পের যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করা হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে শিক্ষা খাতে খরচ অর্ধেক কমবে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্য দেন আরও কিছু বিষয়ে।

মার্কিন ফেডারেল শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা উচিত মন্তব্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করতে চাই। শিক্ষাকে অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফিরিয়ে দিতে চাই।

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করা হলে ‘অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে’ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এতে শিক্ষা খাতে খরচ অর্ধেক কমবে।

ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের রানিং মেট মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে পাবলিক বিদ্যালয়গুলোতে ছেলেদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ওই আইন গত বছর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে এ আইনে ছেলেদের, না মেয়েদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে, সেটির উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য এটি সহজলভ্য করতে হবে।

কমলা হ্যারিস আরও বেশি ও দীর্ঘ সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় তাঁর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে কমলা কোনো দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না; যেমনটা এখন তিনি (ট্রাম্প) করছেন।

ট্রাম্প বলেন, এমন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা মজার বিষয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না বা কোনো সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন- এটা চিন্তা করা কষ্টের।