২ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি অলরাউন্ডার

২ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি অলরাউন্ডার

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তাদের লড়াই শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ফরম্যাটের সিরিজ খেলবে অজিরা। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দুই সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন দলটির অলরাউন্ডার স্পেন্সার জনসন। 

ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেড’-এ সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে পড়েছেন এই তরুণ তারকা। এর আগে জনসন আসন্ন দুই সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিলেন। এখন তার বদলে দলে নেওয়া হয়েছে শন অ্যাবটকে। এর আগে তিনি কেবল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন।

চোটে পড়ার আগে অবশ্য টুর্নামেন্টটিতে খুব একটা ফর্মে ছিলে না জনসন। নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের হয়ে ছয় ম্যাচে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছেন এই পেস অলরাউন্ডার। এর আগে তিনি বিগ ব্যাশের সর্বশেষ আসরে ব্রিসবেন হিটের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে ডাক পান। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে খেলেছেন পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ। আসন্ন সিরিজে জনসনকে মিচেল স্টার্কের বিকল্প ভাবা হচ্ছিল। কারণ স্টার্ক থাকছেন না আসন্ন সফর দুটোয়, তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও থাকছেন দুটি সিরিজে। ফলে পেস বিভাগের নেতৃত্বে থাকছেন জশ হ্যাজলউড। এদিকে, জনসনের বদলি হিসেবে টি-টোয়েন্টি দলে যুক্ত হওয়া অ্যাবট ফরম্যাটটিতে এখন পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। বিগ ব্যাশের ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট (১৬৫) সংগ্রাহক। এ ছাড়া চলমান হান্ড্রেডেও বার্মিংহ্যাম ফোনিক্সের হয়ে সাত ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন।

অন্যদিকে, অজিদের পেস বিভাগে আছেন তরুণ জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিসের মতো তারকারা। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে ক্যামেরন গ্রিন, অ্যারন হার্ডিরা ও মার্কাস স্টয়নিসরাও নির্ভরযোগ্য হতে পারেন বোলিংয়ে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এবং পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।

স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল-
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, জাভিয়ের বার্টলেট, কুপার কনোলি, টিম ডেভিড, নাথান এলিস, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা।