নতুন স্মার্টফোন কেনার টিপস

নতুন স্মার্টফোন কেনার টিপস

ছবি: সংগৃহীত

নতুন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। না হলে আপনি আপনার জন্য সঠিক ফোনটি বেছে নিতে ব্যর্থ হবেন। বাজারে শত শত ফোন। এসব ফোন থেকে সঠিক ফোনটি বেছে নেওয়ার কিছু কৌশল বা টিপস জানুন।

ডিসপ্লে-
একটি ৫.৫- ৬ ইঞ্চির এইচডি বা কিউএইচডি ডিসপ্লেসহ একটি ফোন সাধারণত আদর্শ। এটিকে আপনার পকেটে বা পার্সে বহন করা সহজ হয়ে ওঠে।

প্রসেসর-
প্রসেসরের ক্ষমতা বিচার করার জন্য প্রসেসিংয়ের গতি দেখা প্রয়োজন, যা গিগাহার্টজের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ করা হয়। গতি যত বেশি হবে প্রসেসর তত দ্রুত হবে। কোনও ইউজারের যদি প্রচুর ফটো/ভিডিও এডিটিং করার প্রয়োজন হয়, বা তিনি অনলাইন গেম খেলা এবং ভিডিও স্ট্রিম করেন, তাহলে তার একটি দ্রুততর প্রসেসর যুক্ত ফোন বেছে নেওয়া উচিত।

ব্যাটারি-
আপনি কি ফোনে বেশিরভাগ সময় ভিডিও-স্ট্রিমিং অ্যাপস বা গেম খেলে থাকেন? বেশিক্ষণ অনলাইন ব্যবহার ব্যাটারি দ্রুত নিষ্কাশন করতে থাকে। আপনি যদি এরকম ইউজার হন তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি যুক্ত ফোন বেছে নিতে পারেন।

মেমোরি-
ফোনে দুই ধরনের মেমোরি থাকে – র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বা র‍্যাম এবং রিড অনলি মেমোরি বা রম। র‍্যাম ফোনের প্রসেসরের সাথে, ফোনের গতি এবং এর পরিচালনার সহজতা নির্ধারণ করে। রমকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্টোরেজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অতএব, এটি যুক্তিযুক্ত যে উচ্চ র‌্যামযুক্ত ফোনগুলো দ্রুততর হবে এবং উচ্চতর রমযুক্ত ফোনগুলোর স্টোরেজ বেশি হবে। কোনও সাধারণ ব্যবহারকারীর ২ জিবি র‌্যাম এবং ১৬ জিবি রম নিয়ে খুশি হওয়া উচিত। কিন্তু আপনি যদি একজন হেভি ইউজার হন, তাহলে অন্তত ৩ থেকে ৪ জিবি র‌্যাম এবং ৬৪ জিবি রমসহ একটি ফোন বেছে নেওয়া উচিত৷ 

ক্যামেরা-
বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো তাদের স্মার্টফোনে বেশি মেগাপিক্সেল অফার করে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।  যদি আপনার অনেক ছবি তোলার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে কম আলোতেও ভালো ফলাফলের জন্য ১২ বা ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার সাথে এফ/২.০ বা তার চেয়ে কম অ্যাপারচারযুক্ত ফোন বেছে নেওয়া ভালো৷ যদি আপনার ক্যামেরার ব্যবহার বেশি না হয়, তাহলে ৮ থেকে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং এফ/২.২ অ্যাপারচার সহ একটি ফোন আপনার জন্য ভালো হবে।

অপারেটিং সিস্টেম-
বেছে নেওয়ার জন্য শুধুমাত্র দুটি অপারেটিং সিস্টেম আছে – অ্যানড্রয়েড ও আইওএস। কেউ যদি আইওএস বেছে নেন, তাহলে তিনি নির্দিষ্টভাবে একটি অ্যাপল আইফোন বেছে নিচ্ছেন। অন্যান্য সমস্ত স্মার্টফোন নির্মাতা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে। তবে এগুলোর নাম এবং সংস্করণগুলো ক্রেতাদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। প্রায়শই অ্যানড্রয়েড ও আইএস-কে নির্মাতারা পরিবর্তন করে এমন ফিচার যোগ করে, যার ফলে ব্লোটওয়্যারও হতে পারে। এর কারণে ফোনের গতি কমে যায়। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ফোনটি ব্যবহার করে দেখা প্রয়োজন।