পাকিস্তানে পৃথক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭

পাকিস্তানে পৃথক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭

সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে রবিবার (২৫ আগস্ট) দু’টি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের মাকরান উপকূলীয় মহাসড়কে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এখানে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উত্তর পাঞ্জাবে আরেকটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে গিয়ে আরও ২৫ জন নিহত হয়েছেন।

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাভিদ আলম জানিয়েছেন, প্রথম ঘটনায় বাসটি ইরান থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে পাঞ্জাবে ফিরছিল, কিন্তু মাকরান উপকূলীয় মহাসড়কের বুজি টপ এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সেটি উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঈধির স্থানীয় প্রধান কর্মকর্তা হাকিম লাসি জানান, হতাহতরা পাঞ্জাবের লাহোর ও গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

আহত যাত্রী গুজরানওয়ালার বাসিন্দা আলি হাসান জানান, বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনার বিষয়ে রাওয়ালপিন্ডির উদ্ধারকারী সংস্থার সমন্বয়ক মুহাম্মদ উসমান গুজ্জর জানিয়েছেন, এ বাসটিতে ২৬ জন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। বাসটি পাঞ্জাবের কাহুটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন ডটকম। এ দুর্ঘটনাটি বাসের ব্রেক ফেল হওয়ার কারণে ঘটেছে বলে উসমান জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, চারজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে বলে উদ্ধারকারী এই কর্মকর্তা জানান।

মৃতদেহগুলোসহ একমাত্র আহতকে কাহুটা তেহশিল সদরদপ্তর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উসমান জানান, কাহুটার আজাদ পাট্টান সড়কের গিরারি সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এর আগে গত বুধবার ইরানে পাকিস্তানি পুণ্যার্থীদের বহনকারী আরেকটি বাস উল্টে ২৮ যাত্রী নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছিলেন।