সাকিবকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে: মুমিনুল

সাকিবকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে: মুমিনুল

ছবি:সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন শত শত ছাত্র-জনতা। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেই নিহতদের হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ জড়িত ব্যক্তিদের। বাদ যাননি দেশসেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানও। তাই হুমকির মুখে পড়েছে সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে। তবে সাকিবের বিরুদ্ধে এই মামলাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুমিনুল হক।

রোববার (২৫ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন এই তারকা ক্রিকেটার।

পোস্টে মুমিনুল লিখেছেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে দেশের ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেটে তার হাত ধরে এসেছে কত জয়! সেই মানুষটা এখন মিথ্যা মামলার আসামি!

দেশে যখন অস্থিরতা বিরাজ করছিল তখন কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলছিলেন সাকিব। এ সময় ছাত্রদের হয়ে কথা না বলায় তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে। তাই সাকিবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মুমিনুল।

তার ভাষ্য, গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় দায়ে অভিযুক্ত সাকিব ভাই তখন কানাডায় খেলছিলেন। দেশেও ছিলেন না লম্বা সময়। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।

তিনি আরও লিখেছেন, যে ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন বাংলাদেশ দেখলাম। সেই বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা করে হয়রানি অপ্রত্যাশিত। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে সবাই ন্যায় বিচার পাবে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের প্রতি সবসময়ই সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে। সংকট কাটিয়ে নিশ্চয়ই ভক্তদের ভালোবাসায় আগের মতোই সিক্ত হবে সাকিব ভাই।

এর আগে সাকিবের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয় এবং শরিফুল ইসলাম।

আদাবর থানায় করা মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া রুবেলকে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।