সাকিবের নামে হত্যা মামলা নিয়ে যা বললেন অধিনায়ক শান্ত

সাকিবের নামে হত্যা মামলা নিয়ে যা বললেন অধিনায়ক শান্ত

ছবি:সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন শত শত ছাত্রজনতা। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেই নিহতদের হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ জড়িত ব্যক্তিদের। বাদ যাননি দেশসেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানও। তাই হুমকির মুখে পড়েছে সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে। তবে সাকিবের বিরুদ্ধে এই মামলা অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।

রোববার (২৫ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন এই তারকা ক্রিকেটার।

ফেসবুক পোস্টের শান্ত লিখেছেন, সাকিব ভাই আমাদের দেশের অনেক বড় সম্পদ। দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উঁচিয়ে ধরেছেন তিনিই। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। নতুন বাংলাদেশ, আমরা সবাই নতুন কিছু দেখতে চাই। আশা করি সকল আঁধার কেটে, নতুন আলো আসবে!

গতকাল প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পেছনে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন। তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান এই তারকা ক্রিকেটার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে শান্ত বলেন, মাঠে বাইরে যা কিছুই হক না কেনও, মাঠে নামলে সে দেশের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিভাবে দলের সবাই উৎসাহ দেওয়া যায় এবং দলকে এক রাখা যায় সেই চেষ্টা করে। আশা করছি, প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবেন সাকিব।

এর আগে সাকিবের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয়, শরিফুল ইসলাম এবং মুমিনুল হক।

আদাবর থানায় করা মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া রুবেলকে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।