হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আলোচিত ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভার খঞ্জনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম রিমন কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদগাতী এলাকার মোসলেহ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে কালীগঞ্জের সাবেক এমপি জিতু মিয়ার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন অটোরিকশা নিয়ে খঞ্জনা এলাকায় আসে। সে সময় খঞ্জনা গ্রামের মৃত রকমানের ছেলে মো. সাত্তার (৩৫), মো. আলামিন (৩৮) সহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাতজন রিমনকে আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পার্শ্ববর্তী উত্তরগাঁও কুমারটেক গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আলী হোসেন (৩৫), বক্তারপুর টেংরাটির রহম উদ্দিনের ছেলে রকমত উল্লাহ্ (২৬) ও নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন কলিঙ্গা গ্রামের ফেকুনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪০) জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে রিমনকে টেনে হেঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে কুমারটেক তালতলা এলাকায় নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিমনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ৮টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান নিহত রিমনের লাশ উদ্ধার করেন। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ মাগরিব স্থানীয় হযরত শাহ্ বায়েজীদ মাজার সংলগ্ন ঈদগাঁহ্ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত রিমনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

নিহত রিমনের বাবা মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টার বলেন, রিমন রোববার বিকেলে কালীগঞ্জ থেকে বাড়ীতে আসার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশি মো. সাত্তার, মো. আল আমিন, আলী হোসেন, রকমত উল্লাহ্ ও মো. মোশারফ হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রিমনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে অটোরিকশা দিয়ে পার্শ্ববর্তী কুমারটেক এলকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। তার নামে কালীগঞ্জ থানায় অস্ত্র, হত্যা, ধর্ষণ ও মাদকসহ অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।