ভারতে গরুর গোশত খাওয়ার সন্দেহে মুসলিম যুবককে হত্যা

ভারতে গরুর গোশত খাওয়ার সন্দেহে মুসলিম যুবককে হত্যা

প্রতিকী ছবি

গরুর গোশত খাওয়ার সন্দেহে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই যুবক পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। এ ঘটনায় পিটিয়ে আহত করা হয়েছে আরেকজনকে।

জানা গেছে, সাবির মল্লিক নামের ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে তথাকথিত ‘গো-রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা। পরে একটি খালের ধার থেকে উদ্ধার হয় তার লাশ।

এদিকে, পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানা পুলিশ সাবিরের হত্যার বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে না।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিজ এলাকায় কাজ না পেয়ে প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে নিয়ে হরিয়ানায় যান সাবির। নিহত যুবকের শ্যালকও তার সাথে গিয়েছিলেন সেখানে কাজ করতে। সেই শ্যালকের সাথেই বাড্ডা থানা এলাকায় থাকতেন ২৩ বছর বয়সী সাবির। সেখানে কাগজ কুড়ানোর কাজ করতেন তিনি।

পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষা কমিটির সদস্যরা তাকে গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

মৃতের পরিবারের দাবি, গো-রক্ষক কমিটির লোকেরা সাবিরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে একটি খালের পাশ থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার হয়।

অভিযোগ, এরপর সাবিরের শ্যালক সুজাউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে বাসন্তীর বল্লারটপ গ্রামে পৌঁছায় সাবিরের লাশ।

হরিয়ানা পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া এফআইআর অনুসারে, ২৭ আগস্ট সকালে বেশ কয়েকজন যুবক এসে সাবিরদের বস্তিতে চোটপাট শুরু করে। এরপর সাবিরকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সাবির ছাড়াও আসামের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে আরেক শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে যায় সেই যুবকের দল। সেখানে দুজনকে মারধর করা হয়।

পথচারীরা বাধা দিলে তারা দুজনকে তাদের মোটরসাইকেলে করে অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সাবিরকে একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আসিরুদ্দিনকে অন্য জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। বর্তমানে আসামের সেই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।